পাহাড়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি দক্ষিণ অঞ্চলের অধিকারে ছিল। এর ফলে উন্নয়নমূলক কাজ উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে বেশি হয়েছে। স্কুল, ডাকঘর, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট, বাজার দক্ষিণ ভাগেই স্থাপিত হয়। এলাকার লোকজনকে যেকোনো প্রয়োজনে দক্ষিণাঞ্চলের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ প্রভাবশালী ও স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও স্বেচ্ছাচারিতায় উত্তরাঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তারা বুঝতে পারল চেয়ারম্যান পদ উত্তরাঞ্চলের দখলে না আসা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের অত্যাচার হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উত্তরের সকলে জোটবদ্ধ হয়ে উত্তরের প্রার্থীকে ভোট দিল। ফলে উত্তরের প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলো। কিন্তু নানা কৌশলে দক্ষিণের লোকজন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে তার পদে বসতে বাধা দিল।